এস,কে আলীম,কপিলমুনি খুলনাঃ পাইকগাছা উপজেলার হরিঢালী ইউনিয়নের নোয়াকাটি গ্রামের ৮ বছরের প্রতিবন্ধী শিশু বলাৎকারের ঘটনাটি মাত্র ৮ হাজার টাকায় মিমাংসা হয়েছে। শিশুটির বর্তমান অবিভাবক তার নানাকে প্রভাবিত করে মিমাংসা করা হয়েছে বলে এমন গুন্জন উঠেছে এলাকায়। জানাযায়, গত ১২ জুলাই দুপর বেলায় নোয়াকাটি গ্রামের মাদক বিক্রেতা রফিকুল সরদারের ছেলে সৌরভ সরদার (১৬) ওই গ্রামের ৮ বছরের প্রতিবন্ধী শিশু তরিকুলকে মিষ্টি খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নোয়াকাটি প্রাইমারী স্কুলের পাশে অবস্থিত সৌরভের পিতার একটি চায়ের দোকানে নিয়ে আসে। এসময় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে দোকানে কোন খরিদ্দার না থাকায় শিশুটিকে সৌরভ দোকানের ভিতরে নিয়ে তার হাত-পা ও মুখ বেঁধে তাকে বলাৎকার করে। এরপর শিশুটি বাড়ি আসলে তার পরনের লুঙ্গিতে রক্তের দাগ দেখে তার নানী ও প্রতিবেশীরা জিজ্ঞাসা করলে শিশু তরিকুল ঘটনাটি তাদেরকে খুলে বলে। এসময় তরিকুলের পায়ুপথ দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তখন তাকে দ্রুত পাইকগাছা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসা শেষে নানা বাড়ি এনে এলাকার একজন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। শিশুটির বাড়ি পাইকগাছার বান্দিকাটি গ্রামে। তার বাবার নাম মোঃসাইফুল ইসলাম।শিশুটি নোয়াকাটি গ্রামে তার নানা বাড়িতে থাকে। এদিকে মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় নোয়াকাটি গ্রামে তার নানা শাহবুদ্দিন শেখের বাড়িতে এক শালিসে মাত্র ৮ হাজার টাকায় বিষয়টি রফা করা হয়।স্থানীয় ইউপি সদস্য রাজিব গোলদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,শিশুটির অবিভাবক তার নানা মামলা করতে রাজি না হওয়ায় মিমাংসা করা হয়েছে।শিশুটির দরিদ্র নানাকে প্রভাবিত করে ৮ হাজার টাকায় মিমাংসা করার বিষয়টি অস্বীকার করে ইউপি সদস্য রাজিব গোলদার আরও জানান, চিকিৎসা বাবদ তার নানাকে কিছু খরচা দিয়েছে সৌরভের পিতা রফিকুল সরদার। তবে এভাবে মিমাংসায় গ্রামের অনেকে বিরুপ মন্তব্য করেছেন।
Design & Developed BY- zahidit.com
Leave a Reply